ক্রিসতং থেকে রুংরাং: এক চমৎকার পাহাড়ি অভিযাত্রা
আপনি যদি প্রকৃতি, পাহাড় আর অফবিট ভ্রমণ ভালোবাসেন, তাহলে “ক্রিসতং থেকে রুংরাং” ।এই ট্রেইলটি বান্দরবানের এক অনন্য রুট।এখান থেকে হাঁটাপথ ধরে ধীরে ধীরে প্রবেশ করবেন বান্দরবানের গভীর জঙ্গলে।প্রথম দর্শন পাবেন পালংখিয়াং ঝর্ণায় — Kristong to Rungrang Trail এর এক চমৎকার অংশ।
যাত্রার রুট সংক্ষেপ:
শুরু: ক্রিসতং পাড়া
গন্তব্য: রুংরাং পাহাড়ের চূড়া
পথে যা পড়বে:
✅ পালংখিয়াং ঝর্ণা
✅ থানকোয়াইন ঝর্ণা
✅ মেনিয়াং পাড়া
✅ খেমচং পাড়া
পালংখিয়াং ঝর্ণা– প্রকৃতির গোপন জলপ্রপাত
বান্দরবানের এক লুকানো রত্ন। এই ঝর্ণা তিন ধাপে প্রবাহিত হয়, আর বর্ষায় এর রূপ হয় যেন জীবন্ত!
অবস্থান: মেনিয়াং পাড়ার আশেপাশে
ফিচারস: বিশুদ্ধ পানি, গর্জনধ্বনি, সবুজে ঘেরা
সময়: ক্রিসতং থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টার ট্রেক
থানকোয়াইন ঝর্ণা – সরু পথে গর্জনধ্বনি
অল্প পরিচিত হলেও একেবারে জাদুকরী সৌন্দর্য!
অবস্থান: খেমচং পাড়া থেকে কিছুটা দূরে
বিশেষত্ব: সরু ও গভীর প্রবাহ, পাহাড় বেয়ে পড়ে
সেরা সময়: জুন-আগস্ট (বর্ষাকাল)
মেনিয়াং পাড়া – ম্রো জাতিসত্তার আতিথেয়তা
পাহাড়ি সংস্কৃতির সঙ্গে এক রাত কাটাতে চাইলে এই পাড়া পারফেক্ট।
জনগোষ্ঠী: ম্রো সম্প্রদায়
থাকা-খাওয়া: তাঁবুর ব্যবস্থা, মাঝে মাঝে স্থানীয় খাবার
দৃষ্টিনন্দন: বাঁশের ঘর, পাহাড়ি জীবনযাপন
খেমচং পাড়া – রুংরাং এর গেটওয়ে
রুংরাং চূড়ায় ওঠার জন্য সবচেয়ে কাছের ও সহজ রুট এখান থেকেই।
বিশ্রাম ও প্রস্তুতির স্থান
দৃশ্য: পরিষ্কার দিনে সূর্যোদয় দেখা যায়
গাইড: স্থানীয় গাইড সহজেই পাওয়া যায়
রুংরাং চূড়া – মেঘ ছোঁয়ার শেষ ধাপ
সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে, যখন আপনি পৌঁছাবেন এই চূড়ায়।
উচ্চতা: আনুমানিক ২,৭০০+ ফুট
ভিউ: চারপাশে মেঘ, পাহাড় আর ছোট ছোট পাড়া
সেরা সময়: সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত End point of Kristong to Rungrang trail
ট্রেকিং গাইডলাইন:
সময় পরিকল্পনা করুন: অন্তত ২ দিন রাখুন
স্থানীয় গাইড নিন: পথ বিভ্রান্তিকর হতে পারে
পরিবেশ রক্ষা করুন: প্লাস্টিক ফেলবেন না
খাবার ও পানি রাখুন: পাহাড়ে দোকান নেই
রাত্রিযাপন: পাড়ায় অনুমতি নিয়ে তাঁবু ফেলুন