পালং খিয়াং ঝরনা – বান্দরবানের লুকানো এক রত্ন
পালং-খিয়াং ঝর্ণা হল বান্দরবানের আলীকদম অঞ্চলের এক মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত, যা পাহাড়ি ট্রেকিং প্রেমীদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। বর্ষাকালে পালং-খিয়াং ঝর্ণা তার পুরো রূপে প্রবাহিত হয়। আর এর পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।পালং খিয়াং ঝরর্ণার অবস্থান
পালং খিয়াং ঝরনা বান্দরবানের রুমা উপজেলার অন্তর্গত। এটি মূলত রুমা বাজার থেকে ট্রেকিং করে যেতে হয়। পথে পড়বে বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম, বাঁশের সাঁকো, কাদামাখা পথ আর ঘন সবুজ বনভূমি। পুরো ভ্রমণপথটাই যেন এক প্রকৃতির চিত্রশালা, যেখানে প্রতিটি বাঁকে আছে নতুন চমক।১. আড়ালে থাকা স্বচ্ছ ও সরু ঝর্ণা
পালং খিয়াং ঝর্ণা বান্দরবানের এক গোপন রত্ন, যার জলধারা সরু, শান্ত এবং স্বচ্ছ—একেবারে ছবির মতো।
২. অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত ট্রেক
ঝর্ণায় যেতে হয় পাহাড়ি ট্রেইল আর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে, যা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
৩. প্রকৃতির নিস্তব্ধতা ও নির্জন পরিবেশ
ভিড় কম, শব্দদূষণহীন, নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ।
৪. ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান
ঝর্ণার পেছনে খাড়া পাহাড় আর সবুজের আবরণ — নিখুঁত Instagram-worthy ব্যাকগ্রাউন্ড।
৫. অদেখা বান্দরবানের স্বাদ
বিভিন্ন বিখ্যাত ঝর্ণার ভিড়ের বাইরে পালং খিয়াং এখনো তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত, তাই একান্তভাবে প্রকৃতি উপভোগ করা যায়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে হবে বান্দরবান শহরে। সেখান থেকে বাস বা জিপে রুমা বাজার। রুমা বাজার থেকেই মূল ট্রেকিং শুরু হয়। সাধারণত স্থানীয় গাইড ছাড়া যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ও নিষিদ্ধ। রুমা বাজার থেকে গাইড ভাড়া করে নিতে হয়, যারা পথ চিনে ও পাহাড়ি ভাষাও জানে। ৬-৭ ঘণ্টার ট্রেকিং পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় পালং খিয়াং-এর গহীনে।প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:
- অভিজ্ঞ গাইড ছাড়া যাবেন না।
- হালকা ব্যাকপ্যাক নিন, ভারী লাগেজ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
- পানির বোতল, হালকা শুকনো খাবার, ফার্স্ট এইড কিট ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
- ভালো মানের ট্রেকিং জুতা এবং রেইন কোট অবশ্যই প্রয়োজন।
- প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, কোনো ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসবেন না।